রাজনৈতিক প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা অনলাইনে বসেই রাজনীতি করার প্রবণতা বেড়ে চলেছে। এছাড়াও বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি অনলাইনে ফেসবুকে বন্দী হয়ে আছে বেশ কয়েক বছর ধরে। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের রাজনীতির অঙ্গণে বড় দল হিসেবেই পরিচিতি লাভ করলেও বর্তমানে তারা অনলাইনে ফেসবুকে বন্দী হওয়ায় এ দল বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি থাকার পরও তারা রাজ পথে নেমে আসছেন না। সংসদ নির্বাচনের পরে বিএনপি গত ৯ ফেব্রুয়ারী প্রথম কর্মসূচি দিয়েছেন। আর এ কর্মসূচিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কর্মসূচী পালন করতে দেখা না গেলেও তাদের অনেকের ফেসবুক পেইজে ব্যানার দিয়ে কর্মসূচির পোষ্ট দিতে দেখা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি দলের প্রভাবশালী নেতারা দীর্ঘদিন ধরে মামলা হামলার শিকার ও পদপদবীর লোভ এছাড়া ঐক্যবদ্ধতা না থাকার কারনে দেশের আলোচিত দল হলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান নাজুক। বিএনপির জ্যৌষ্ঠ একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, বিএনপি এখনো ভাল অবস্থানে থাকতে পারবে যদি তারা দলের মধ্যে কোন কোন্দল না রাখেন। দলীয় কোন্দল এ দলটাকে বেকায়দায়সহ নেতা-কর্মীদের বেকায়দায় ফেলেছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে পরামর্শ দিয়ে বলেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলে সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এর মতো ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনিদের মতো ত্যাগী ও দলের জন্য নিবেদিত হতে হবে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিএনপি কি তাদের পূর্বের শক্তি ফিরে পাবেন? তারা বলেন, তরুণরা এখনো বিএনপির রাজনীতি পছন্দ করেন। পাশাপাশি নারীদের সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নিতে হবে। তাহলে এ দল এগিয়ে যেতে পারবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাষাড়া এলাকার একাধিক যুবক বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির দলের ও সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন।
বিগত দিনে যা তৈমূর আলম খন্দকার সুসংগঠিত রেখেছেন। সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে কোনঠাসা করে রেখেছেন কাজী মনির। যা তৈমুর করেন নি। কাজী মনিরের অধিকাংশ লোকজন অনলাইনে ফেসবুকে রাজনীতি করেন। রাজ পথে না নামার কারন জানতে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আধ্যপক মামুন মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চা অফিসিয়াল নাম্বার থেকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন উঠান নি। তাই তার বক্তব্য দেয়া যায় নি। মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে দৈনিক সংবাদচর্চার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিগত দিনে বহু মামলার আসামী হয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরাসহ সাধারন কর্মীরাও। এছাড়া পুলিশের বাধা ও মামলা হামলার ভয়ে অনেকেই অনেক কর্মসূচিতে যেতে পারেন না। যুবদল নির্বাচনের আগে রাজপথে না দেখার কারন কি?
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। পরে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। তার বক্তব্য দেয়া যায় নি। মহানগর যুবদল অনলাইনে বন্দী হয়ে রাজনীতি করছেন এমন বিষয়ে কথা বলার জন্য মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত ৪ ফেব্রোয়ারী সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাড়িতে গিয়ে তার ও তার পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়ে বাসায় ফিরেছি।
এর আগে আমার বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলায় আগাম জামিন শেষে তাদের কাছে গিয়েছি। খোরশেদ আরও বলেন, গত ৮ তারিখে বন্দর উপজেলায় সংগঠনের লোকজনের সাথে ও দলের একজন নেতার বাড়িতে গিয়ে অনেকের সাথে দেখা করাসহ তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমি আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করি। আমি মামলার আসামী হলে নেতা হয়ে আলোচনায় চলে যাই। কিন্তু কষ্ট পাই আওয়ামী লীগ যখন একজন গামের্ন্টস কর্মীকে মামলায় আসামী করে তার পরিবারকে পথে বসিয়ে দেয়। এবারের সংসদ নির্বাচনে একমাত্র দল মহানগর যুবদল আমাদের দলীয় প্রার্থী এসএম আকরামের সাথে ছিলাম। তার সাথে থাকায় আমি চুরির মামলার আসামীও হয়েছি।